আবির ভট্টাচার্য দিনহাটা 31 জুলাই: স্বাধীনতা
দিবসের আগে অন্য স্বাধীনতায় মাতল সাবেক ছিটের বাসিন্দারা । মধ্য রাতে মোমবাতি প্রজ্বলন
ও সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে দিনহাটা মহকুমার সাবেক ছিটের
বাসিন্দারা । মধ্য মশাল ডাঙ্গা, পূর্ব মশাল ডাঙ্গা, পশ্চিম মশালডাঙ্গা সহ পোয়াতুরকুঠি
ও আন্যান্য সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের কাছে ৩১ জুলাই মধ্য রাত যেন স্বাধীনতা দিবস । কারন
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ঐতিহাসিক ছিট
মহল হস্তান্তর হয়েছিল ।মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে মশালডাঙ্গা ,পোয়াতুর কুঠি সহ বিভিন্ন
ছিট মহলের বাসিন্দারা মেতে উঠেছিল স্বাধীনতার আনন্দে। ১লা আগস্ট প্রশাসনের তরফে ভারতের
ত্রীবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছিট মহলে । সে ঘটনা এখন অতীত
। দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিনটি বছর । এখন আরো পাঁচটা বাসিন্দাদের মত সাবেক ছিটের বাসিন্দারাও
বুক ফুলিয়ে বলে আমরা ভারতীয়। পূর্ণ হয়েছিল দীর্ঘা কাঙ্খিত স্বাধীনতার বাসনা।পুরোন
স্মৃতি রোমন্থন করে কেউ কেঊ বলেন , একটা সময় বাবার নাম পরিবর্তন করে বাচ্চাদের স্কুলে
পর্যন্ত ভর্তি করা হয়েছে । কিন্তু এখন আর সে দিন নেই । নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের
সঠিক পরিচয়েই স্কুলে ভর্তি হতে পারছে । সাবেক
ছিট মশাল ডাঙ্গা র যুবক জয়নাল আবেদীন বলেন, উন্নয়ন হয়েছে বেশকিছু। যেমন, পাকা রাস্তা বিদ্যুৎ।
কিন্তু কিছু কিছু ন্যূনতম চাহিদা এখনো পূরণ হয়নি। পানীয় জল , কাছেপিঠে নেই কোন স্কুল
, শিশুদের জন্য নেই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার,
এমনকি এখনো পর্যন্ত জমির কাগজ পায়নি বাসিন্দারা
। মশালডাংগা থেকে কমবেশি ৪ কিমি দূরে শিশুদের জন্য রয়েছে গাওচুলকা প্রাথমিক বিদ্যালয়
ও গাওচুলকা গালর্স জুনিয়র হাইস্কুল । তবে পাওয়া না পাওয়ার এই গল্পের মধ্যে 31 শে
জুলাই এলেই মধ্যরাতে এই সাবেক ছিটমহলগুলোতে জোনাকির মত ইতিউতি জ্বলে ওঠে মোমবাতি। মাইকে বেজে ওঠে বিভিন্ন গান। গানের তালে
চলে খুদেদের নাচ। আর পহেলা আগস্ট সকালে বিভিন্ন জায়গায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন
ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে পালিত হয় ভিন্ন দিনে স্বাধীনতা দিবস।

