রাজনৈতিক মঞ্চ ছাপিয়ে রিলের দুনিয়ায় ভাইরাল আনন্দ, তোলপাড় নেটপাড়া

আবির ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে আনন্দ বর্মন কে চেনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজ এর পাশাপাশি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে দিনহাটা মহকুমায় প্রান্তিক বাজার এলাকার আনন্দ বর্মন এর। রাত দুটোয় হোক কিম্বা বর্ষার দুপুরে কারো কোনো সমস্যা দেখলে তৎক্ষণাৎ এলাকাবাসী পাশে পায় আনন্দ কে।
ওপর দিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ নেতা হিসেবেও বেশ সুনাম রয়েছে দাপুটে তরুণ তুর্কি নেতা আনন্দ বর্মনের। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে পঞ্চায়েতি ও সামলাচ্ছে এই তরুণ নেতা। আনন্দ র গ্রাম পঞ্চায়েত বিভিন্ন উন্নয়ন দেখেও বেশ খুশি এলাকাবাসী। এই সবের মধ্যেই শিল্প সত্বা কে পাথেয় করে দেশ ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় সাত হাজার হলেও আনন্দর অভিনয় করা রিলের ভিউয়ার এক মিলিয়ন ছুঁই ছুঁই করছে। হাজার হাজার কমেন্টে পরিষ্কার বোঝা যায় আনন্দর অভিনয় মন ছুঁয়ে যাচ্ছে আট থেকে আশি সকলের। অভিনয়ের তেমন কোনো টিম না থাকলেও অসাধারণ প্রতিভার দেখা মিলছে প্রতিটি রিলে। সম্প্রতি কোচবিহার রাজবাড়ী , ডুয়ার্সের জায়গা ভিউ পয়েন্টে অভিনয় করা রিল গুলো দর্শক মহলের মন ছুঁয়ে গেছে। মূলত একা অভিনয় করলেও কিছু কিছু রিলে টিম ওয়ার্ক দেখা গেছে। জানাযায়, দীর্ঘ দিন থেকেই অভিনয় সহ শিল্প জগতে যুক্ত ছিল প্রান্তিক শহর দিনহাটার এই তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা আনন্দ বর্মনের। বিষয়টি নিয়ে আনন্দ বর্মন বলেন, রাজনীতিতে আসার বহু আগে অভিনয় সহ শিল্প জগতে ছিলাম। কিন্তু মানুষের নানান সমস্যা , অভাব অভিযোগ সব সামলে দলীয় কাজের পরে যেইটুকু সময় পায় তখন একটু অভিনয় করি। কারণ আমি একজন শিল্পী । আর অভিনয় আমার মনের খোরাক। সেকারণে যখনই একটু সময় পায় ছুটে যায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে , পার্কে কিম্বা নদীর ধারে বা মাঠে ঘাটে। তিনি আরো বলেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ বঙ্গ সহ উত্তরবঙ্গ কে যেভাবে উন্নয়নের চূড়ায় বসিয়েছে আমার রিলের মাধ্যমে সেটাও তুলে ধরার চেষ্টা করি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.