শিরোনাম ২৪
ডেস্ক , ১৭ ফেব্রুয়ারি: ছাই হয়ে গেল ইতিহাস! কয়েক ঘন্টার বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ইতিহাস বিজরিত “দেবী চৌধুরানীর” মন্দির । শুক্রবার রাতে হঠাৎ আগুনে লাগে কয়েশো বছর
প্রাচীন “দেবী চৌধুরানী” মন্দিরে । দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছোনোর আগেই পুড়ে যায়
কাঠের তৈরি প্রাচীন এই মন্দিরটি । পুড়ে যায় মন্দিরের ভীতরে কাঠের তৈরি মূল
বিগ্রহ গুলিও । আগুন লাগার কারন এখনো জানা না গেলেও
স্থানীয়দের মতে সন্ধ্যের পরে নির্জন এই এলাকায় বসে মদ ও গাঁজার আসর । তা থেকেই আগুন
লাগার কারণ বলে অনেকেই মনে
করছে । আগুন লাগার কারন নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । প্রায় তিনশো বছরের বেশী প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ বহনকারী ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর তৈরি এই মন্দির এই ভাবে পুড়ে যাওয়ায় দুঃখপ্রকাশ
করেছ আপামর জেলাবাসী । জলপাইগুড়ি শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে শিকারপুর এলাকায় চাবাগান ও জঙ্গলাকীর্ন স্থানে
ছিল প্রাচীন এই মন্দিরটি । স্থানীয়রা অনেকেই সন্ন্যাসী ঠাকুরের মন্দির বলেই জানতেন প্রাচীন এই মন্দিরটিকে । ঐতিহাসিকদের
দাবি, এই
মন্দিরটি ছিল দেবী চৌধুরানী এবং ভবানীপাঠকের সাথে সম্পর্ক যুক্ত । অনেকের মতে প্রাচীন কালে তিস্তা নদীর পার্শ্বস্থ এই চত্বরে দেবী চৌধুরানী হাট বসাতেন ।
এমনকি গরীব , দুঃস্থ মানুষদের দান করতেন এই চত্বরেই । আবার তদকালীন সময় শত্রু
পক্ষের হাত থেকে বাচতে দেবী চৌধুরানী আশ্রয়ও নাকি নিতেন এই চত্বরেই । এই মন্দিরে
নারী এবং পুরুষের যে দু’টি বিগ্রহ পুজো করা হত সেই দু’টি দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের বলে অনেকের
মত । কয়েক বছর আগেও কাঠের তৈরি প্রাচীন এই মন্দিরে আগুন লেগেছিল । তবে তা ছিল আংশিক। এ বারে পুরো মন্দিরটিই ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায়
মন্দিরে ইতিহাসও ছাই হয়ে গেল, বলছেন ঐতিহাসিকরা । বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ির ইতিহাস গবেষক উমেশ শর্মা বলেন ,
মন্দিরটির সঙ্গে কয়েকশো বছরের ইতিহাস বিজরিত ছিল । ঘন্টা খানেকের আগুনে তা
ভষ্মীভূত হয়ে গেল।

