শিরোনাম ২৪ ডেস্ক, আবির ভট্টাচার্যঃ একটানা একাশি বছর ধরে জল বা অন্ন মুখে না তুলে তাক লাগিয়ে
দিয়েছিলেন গুজরাটের এক সাধু। এতগুলো দশক অন্নজল স্পর্শ না করেও অঙ্গপ্রত্যঙ্গই ছিল
এক্কেবারে ফিট। যেখানে আর পাঁচজন জল ছাড়া বাঁচবার কথাই ভাবতে পারে না সেখানে টানা এত
গুলো বছর অন্নজল স্পর্শ না করার কথা জানিয়েছিলেন গুজরাটের সাধু প্রহ্লাদ জনি।
জানা গিয়েছে, ১৯২৯ সালে গুজরাটের মহাসেনা জেলায় জন্ম হয় প্রহ্লাদ জনি র।
মাত্র সাত বছর বয়সেই ঘর ছেড়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকতে শুরু করেন প্রহ্লাদ। বয়স বারো পেরোতে
না পেরোতেই দেবী অম্বার ভক্ত হয়ে ওঠেন। তখন থেকেই মহিলা ভক্তদের মতো সাজপোশাক ধারণ
করা শুরু করেন। তাই তাঁর নাম হয় চুনরিওয়ালে মাতা। ১৯৪০ থেকে জল এবং খাওয়া একেবারে বন্ধ
করে দেন সাধু প্রহ্লাদ।
সাধু প্রহ্লাদ জনি বলেছিলেন, সে বছর নবরাত্রির সময় হঠাৎ মাঝরাত্তিরে তার
ঘুম ভেঙে যায়। স্বপ্ন না বাস্তব, কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। শুধু দেখতে পান, তাঁকে
দর্শন দিয়েছেন তিন দেবী। মা লক্ষ্মী, মা সরস্বতী ও মা কালী। তাঁরাই সাধু প্রহ্লাদকে
খাওয়া-দাওয়া একেবারে ছেরে দেওয়ার নির্দেশ দেন। না খেয়ে কি করে বাঁচবেন? দেবীদের প্রশ্ন
করেন প্রহ্লাদ। দেবীরা একে একে তাঁর ঠোঁটে আঙুল রাখেন এবং জানান, আর কোনও দিনও প্রহ্লাদকে
খাওয়াদাওয়ার কথা ভাবতে হবে না।
সম্প্রতি সাধু প্রহ্লাদ এর মৃত্যু
হয়। মৃত্যু পর্যন্ত সত্যিই খাবার কখন মুখে তোলেননি তিনি।
একবার সাধু প্রাহ্লাদ কে পরীক্ষা
করে দেখবার জন্য ডঃ সুধীর শাহ নামে এক চিকিৎসক ২০০৩ সালে আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে
তাঁকে দশ দিন কড়া নজরে রাখেন।
জানা যায়, একটি বন্ধ ঘরে সিসিটিভি
ক্যামেরা সহ তাঁকে চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে আটকে রাখা হয়। তবে তাক লাগিয়ে দেওয়া ঘটনা
দেখে কার্যত চক্ষু চড়ক গাছ হয় তাদের। তারা দেখেন এই দশদিন সাধু প্রহ্লাদ না কিছু খেয়েছেন
না বজ্য ত্যাগ করেছেন।
জানা যায়, ৯০ বছর বয়সে ২০২০ সালের
২৬ মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
