শিরোনাম 24: অসুস্থ শিক্ষকের পাশে দাঁড়ালো সাংসদ ছাত্র। কোচবিহার এর সাংসদ নিশীথ প্রামানিক তার শিক্ষার্থী জীবনের গৃহ শিক্ষক এর অসুস্থতার কথা শুনে বিশেষ তৎপর হতে দেখা গেল। জানা গেছে, দিনহাটা শহর সংলগ্ন মদনমোহন বাড়ি বাইপাস এলাকার বাসিন্দা বিকাশ সরকার পেশায় গৃহশিক্ষকতা কাজ করে ন। দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ বাবুর দুটো কিডনিই অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। আর্থিক অনটন এর কারণে চিকিৎসা মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয়েছিল বিকাশ বাবুর। বিষয়টি কুচবিহারের তরুণ দাপুটে সংসদ নিশীথ প্রামাণিকের কানে যেতেই বিকাশবাবু পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের এক অনন্য নজির গড়লেন। বিকাশবাবু বলেন, ছাত্র অবস্থায় বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ নিশিথ প্রমানিক আমার বায়োলজি বিষয়ের ছাত্র ছিলেন। আমার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে চিকিৎসার দায়িত্বভার সহ বিশেষ পরিষেবায় বিমানে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয়। নিশিথ প্রমানিক যদি সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে দিত তাহলে হয়তো বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে হতো। বিকাশ বাবু বলেন, ছেলেবেলা থেকেই আদরের বিট্টু খুব দুর্দান্ত বুদ্ধিমান ও ভালো ছাত্র ছিল। আগেই বুঝেছিলাম ও ভবিষ্যতে ভালো একটা জায়গায় পৌঁছে যাবে। কিন্তু এত ভালো জায়গায় পৌঁছাবে সেটা কল্পনা করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, এমন প্রতাপশালী সাংসদ ছাত্র এভাবে আমায় সহযোগিতা করবে এ আমার কল্পনাতীত। বিকাশবাবু স্ত্রী কনিকা সরকার বলেন, শুনেছিলাম কোচবিহারের সাংসদ মানুষরূপী ভগবান । আজ বাস্তবে তার প্রমাণ পেলাম। উনি যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে সেটা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। হয়তো উনার এই সহযোগিতার কারণে সুস্থ অবস্থায় ফিরতে পারবে বিকাশবাবু। বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের সাংসদ নিশিথ প্রামাণিক বলেন, ছেলেবেলা থেকেই শিক্ষক বিকাশ সরকারের কাছে বায়োলজি পড়তাম। গতকাল রাত্রে জানতে পারি শিক্ষক মহাশয় জটিল রোগে আক্রান্ত। বিষয়টি জানার পর থেকে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙ্গে পড়ি। পরবর্তীতে রাজধানী দিল্লির এমইস এ চিকিৎসা সহ যাবতীয় দায়িত্ব ভার নিজের কাঁধে তুলে নেই। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে সর্বদা দাঁড়ানো, বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গ সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কোচবিহারের তরুণ সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। শুধু রাজনীতির ময়দানে গোল করেই তিনি থেমে থাকেন না। ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় দরিদ্র থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা মানুষের বিপদের সময়। প্রতিনিয়ত তিনি আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন মানুষের সেবা করে যান। এদিন তার ছেলে বেলার শিক্ষকের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার কর্মকান্ড শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের এক অনন্য নজির গড়লো।

