শিরোনাম 24 ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর: গ্রেফতারের কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তি পেল কোচবিহারের সেলিব্রেটি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক খগেন মুর্মু ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বুধবার সকালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন পর্যবেক্ষণ ও আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের দেখতে এক বিরাট প্রতিনিধিদল যায়। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় মালদা জেলা পুলিশের তরফে বেরিকেট বিয়ে দেওয়া হলে তার সামনেই বসে পড়ে কুচবিহারের বিজেপির তরুণ সাংসদ নিশীথ প্রামানিক সহ খগেন মুর্মু ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেখানেই সোচ্চার হতে দেখা যায় কোচবিহার সাংসদ নিশীথ প্রামানিক কে। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ঘরছাড়া অবস্থায় রয়েছে , ফিরতে পারছে না স্বাভাবিক জীবনে। সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি জ্বালিয়ে ভাঙচুর করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে' তখন পুলিশ রা বাঁচাতে পারিনি । অথচ শান্তির বার্তা নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাওয়া বিজেপি দলকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আটকে দিচ্ছে। পাশাপাশি সোচ্চার হতে দেখা যায় পার্শ্বশিক্ষকদের বিরুদ্ধে বঞ্চনা নিয়ে। এসব নিয়ে বেরি গেটের সামনে নিশিথ প্রামাণিক বলার পরেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।গ্রেফতার করে পরবর্তীতে তাদের মালদার ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে আসে। নিশীথ প্রামানিক কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা মাত্রই কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক ভিড় জমাতে শুরু করে। থানা চত্বরে চলতে থাকে নানান স্লোগান। কিছুক্ষণের মধ্যে অবশেষে মুক্তি দেওয়া হয় নিশির প্রামাণিক সহ গ্রেফতার করে আনা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। নিশীথ প্রামানিক বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গেছেন। সেই কারণে পুলিশকে তার দল দাস বানিয়ে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা লুটছেন। এমন জঘন্যতম কাজ এর কোন বর্ণনা হয় না। সাধারন মানুষদের অভাব-অভিযোগ বঞ্চনা শোনার জন্য এক পর্যবেক্ষণ দল মালদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হরিশ্চন্দ্রপুর সহ একাধিক জায়গায় যাচ্ছিল সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আমাদের আটকে দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। মানুষ এর যোগ্য জবাব খুব শিগগিরই দিয়ে দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

