ধূপগুড়ি,১৮ ফেব্রুয়ারি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লোকালয়ে ফের হাতির হানা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধুপগুড়ির সোনাখালি এলাকায় রাতভর তান্ডব চালায় একটি দলছুট হাতি। স্থানীয়দের মতে মূলত খাবারের সন্ধানেই লোকালয়য়ে হাতি হানা দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার জেরে অল্পের জন্য প্রাণে বাচলেন এলাকার অন্যতম ব্যাক্তি কাল্টু হুসেইন ও তাঁর পরিবার সহ এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক ভয়ের সঞ্চার হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে ধূপগুড়ি শহর সংলগ্ন সোনাখালি এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে একটি দলছুট দাঁতাল হাতি খাবাররের সন্ধানে যায়। সমাজকর্মী তথা এলাকার বাসিন্দা কাল্টু হুসেইনের বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষন বিভিন্ন গাছ ভাঙ্গার পাশাপাশি ঘড়ের টিনে ক্ষতিপ্রাপ্ত করে ওই হাতিটি। পরবর্তীতে কালটু বাবু ও তার ছেলে পটকা ফাটালে আশেপাশের বাড়ি গুলি হয়ে জঙ্গলে ফিরে যায় ওই দলছুট হাতিটি। ঘটনার জেরে এলাকার বাসিন্দারা বন দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়।
ঘটনার জেরে অল্পের জন্য সপরিবারে প্রাণে বেঁচে যায় সমাজকর্মী কালটু হুসেইন ও তাঁর পরিবার। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সমাজকর্মী কাল্টু হুসেইন বলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে বনদপ্তর এর কাছে বারংবার হাতি রক্ষার জন্য এবং হাতির নির্দিষ্ট খাবারের বন্দোবস্ত করার আবেদন জানানো সত্ত্বেও হাতি তার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না পাওয়ায় জঙ্গল থেকে লোকালয় মাঝে মাঝেই বেরিয়ে এভাবে হামলা চালায়। তিনি বলেন, বরাতজোরে এদিন হাতির হামলার পরেও প্রাণে বেঁচে গেছি। তিনি আরো বলেন, বনদপ্তর সজাগ না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা বন দপ্তরের ক্লাছে এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপতার দাবী জানান। যদিও বিষয়টি নিয়ে বনদপ্তর এর তরফ এ কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
